ইউরোপে ধর্মঘট
৩১ মে ২০১৬ইউরোপের অনেক দেশের সরকারই প্রবল চাপের মুখে এমন কিছু অপ্রিয় সংস্কারের কাজে হাত দিচ্ছে, যার ফলে জনরোষ বেড়ে চলেছে৷ গ্রিসে প্রায় ধারাবাহিকভাবেই চলে আসছে সরকারবিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-ধর্মঘট৷ এবার ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সরকার শ্রমিক সংগঠনগুলির রোষের মুখে পড়েছে৷
প্রথমে পেট্রোল পাম্পে তেলের সরবরাহ বিপর্যস্ত হলো৷ বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ব্যাঘাত ঘটলো৷ এবার রেল ও বিমান যোগাযোগ ভেঙে পড়ার মুখে৷ খোদ রাজধানী প্যারিস বার বার রণক্ষেত্র হয়ে উঠছে৷ ফলে পর্যটনেরও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা৷ ফ্রান্সের শিল্পজগতের কর্ণধাররা বলছেন, শ্রমিক সংগঠনগুলি সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করছে৷
এক সপ্তাহের পরিবহণ ধর্মঘট ফ্রান্সকে কার্যত অচল করে দিতে পারে৷ কিন্তু যাবতীয় চাপ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ শ্রমবাজারের সংস্কারের লক্ষ্যে সরকারের কোনো পদক্ষেপ প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত নন৷
এই অবস্থায় আসন্ন ইউরোপীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা কীভাবে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে, তা নিয়ে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে৷
চলমান ধর্মঘটের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে ফ্রান্সের দীর্ঘকালের গভীর সংকটের চালচিত্র উঠে আসে৷
ফ্রান্সের প্রতিবেশী দেশ বেলজিয়ামও ধর্মঘটের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই৷ সে দেশেও শ্রমিক সংগঠনগুলি একাধিক ক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ সে দেশে স্কুল, শহরের পরিবহণ ব্যবস্থা, বিমানবন্দর ও সরকারি দপ্তরে কাজকর্ম বিপর্যস্ত হচ্ছে৷ রেল ও বিমান পরিবহণও অচল হয়ে পড়ছে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)